দুনিয়ার অদৃশ্য শৃঙ্খল — শেখ মিজান
  রাজ্য দখল করে, মানুষকে শিকল পরিয়ে দাস বানানো যায়—এটা ইতিহাসের পরিচিত অধ্যায়। জুলিয়াস সিজার থেকে শুরু করে চেঙ্গিস খান পর্যন্ত, অনেক সাম্রাজ্যবাদীই এই কৌশলে সাফল্য পেয়েছে। কিন্তু সেই দাসত্ব কখনো না কখনো টুটে গেছে। বিদ্রোহ হয়েছে, বিপ্লব হয়েছে, মানুষ মুক্ত হয়েছে।  কিন্তু এক নতুন দাসত্ব এসেছে—আর এ দাসত্ব চোখে দেখা যায় না, শিকল নেই, শাসকের ঘোড়া নেই, তলোয়ার নেই। আছে শুধু ভয়, অন্ধবিশ্বাস, আর একটা শব্দ—মরু সংস্কৃতি।  এই সংস্কৃতি বলে, প্রশ্ন কোরো না, চিন্তা কোরো না, চোখ বন্ধ রাখো, আর ‘স্বর্গে সুখ পাবে’ বলে মগজে ঢুকিয়ে দেওয়া হয় এক ধরনের মাদক।  একটা দৃশ্য কল্পনা করুন:  > সাটক: “আচ্ছা ভাই, তুমি এইসব পাথরের সামনে মোমবাতি জ্বালাও কেন?”  নীরব এক যুবক: “আমার দাদার দাদারাও জ্বালাতো… তারা তো ভুল হতেই পারে না।”    এই ‘তারা তো ভুল হতেই পারে না’—এই বাক্যই হলো সেই অদৃশ্য শিকল।  স্বাধীনতার পর, আমরা ভেবেছিলাম মুক্ত হয়েছি। কিন্তু সেই মুক্তির পেছনে রেখে যাওয়া হয়েছিল এক বিষবৃক্ষ। ধর্ম, সংস্কৃতি, জাতীয়তাবাদ—সবকিছু মিশিয়ে এক অদ্ভুত মিশ্রণ তৈরি করা হলো, যার নাম দেওয়া হলো "চিরাচরিত মূল্যবোধ"।  এটা এমন ...