ব্লগার হত্যার 'মাস্টারমাইন্ড' বন্দুকযুদ্ধে নিহত: পুলিশ - বিবিসি
শাহনাজ পারভীন
বিবিসি বাংলা, ঢাকা
ছবির ক্যাপশান,নিহত কয়েকজন ব্লগার
বাংলাদেশে ব্লগার অভিজিৎ রায় ও নিলাদ্রী নিলয় হত্যাকাণ্ডে অভিযুক্ত এক সন্দেহভাজন ক্রসফায়ারে নিহত হয়েছে বলে গোয়েন্দা পুলিশ দাবি করেছে।।
ঢাকায় এক সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ বলছে, নিহত শরিফ এই দু’জনের হত্যাকাণ্ডে সরাসরি অংশ নিয়েছিলো।
পাশাপাশি সমকামীদের পত্রিকা রূপবানের সম্পাদক জুলহায মান্নান হত্যাসহ আরো সাতজন ব্লগার ও প্রকাশক হত্যার সঙ্গেও তিনি জড়িত ছিলেন বলে কর্মকর্তারা বলছেন।
তবে অভিজিৎ রায়ের পরিবার বলছে, এসব ঘটনায় পুলিশের তদন্তের প্রতি তাদের আস্থা কমে আসছে।
গোয়েন্দা পুলিশের ভাষ্যমতে শরীফ নামে বন্দুকযুদ্ধে নিহত ব্যক্তি আরো অন্তত পাঁচটি নামে পরিচিত ছিলো।
তাকে আনসার আল ইসলাম গোষ্ঠীর একজন শীর্ষ সংগঠক বলে উল্লেখ করা হচ্ছে।
পুলিশ বলছে, শরিফ জঙ্গি সদস্য সংগ্রহ, প্রশিক্ষণ ও সংগঠনের জন্য অর্থ সংগ্রহ করতো।
ছবির উৎস,FOCUS BANGLA
ছবির ক্যাপশান,একের পর এক ব্লগার হত্যার প্রতিবাদে ঢাকায় বিক্ষোভ
ব্লগার অভিজিৎ রায়, নীলাদ্রী নিলয়, ওয়াশিকুর রহমান, নাজিমুদ্দিন সামাদ ছাড়াও প্রকাশক ফয়সাল আরেফিন দীপন ও জুলহায মান্নানের হত্যাকাণ্ডেও শরিফ নামের এই ব্যক্তির সম্পৃক্ততার কথা জানাচ্ছে পুলিশ।
ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের জয়েন্ট কমিশনার আব্দুল বাতেন বলেছেন, “এই প্রত্যেকটা হত্যার সংগে তার সম্পৃক্ততা ছিলো। প্রশিক্ষণ, রিক্রুটমেন্ট এবং অপারেশন এই সবগুলোতে তার সরাসরি অংশগ্রহণ ছিলো। নীতি নির্ধারণেও সে সরাসরি জড়িত ছিলো। বিভিন্ন অপারেশন বাস্তবায়নেও ছিলো তার সক্রিয় ভূমিকা।”
মি বাতেন বলেছেন, আগে গ্রেফতার হওয়া আনসার আল ইসলামের কয়েকজন সদস্যের কাছে এই শরীফ সম্পর্কে তারা তথ্য পেয়েছিলেন।
গোয়েন্দা পুলিশের ভাষ্যমতে রাতে ঢাকার মেরাদিয়া থেকে ডেমরা যাওয়ার সড়কে একটি মোটরসাইকেলে তিনজন আরোহীকে ধাওয়া করে তাদের একটি দল।
পুলিশের দিকে তারা গুলি ছুড়লে পুলিশও পাল্টা গুলি ছোড়ে। এতে একজন নিহত হয়।
পরে নিহত ব্যক্তিকে শরিফ হিসেবে শনাক্ত করা হয়েছে। পুলিশ বলছে, তাদের কাছে ২০১৫ সালের বই মেলার যে সিসিটিভি ফুটেজ রয়েছে তাতে শরিফ নামে ঐ ব্যক্তিকে ব্লগার অভিজিৎ রায়কে অনেকক্ষণ অনুসরণ করতে দেখা গেছে।
ব্লগার অভিজিৎ রায়
এরকম একজন গুরুত্বপূর্ণ অভিযুক্ত নিহত হলে তদন্ত কিভাবে এগুবে তার জবাবে মিস্টার বাতেন বলেন, “তদন্তে অসুবিধা হবে না। কারণ অন্যান্য আসামি যারা আছে নিশ্চয়ই আমরা তাদেরকে ধরতে পারবো। তাদের কাছ থেকে আমরা স্টেটমেন্ট আদায় করবো।”
গত সপ্তাহে চলা পুলিশের দেশব্যাপী অভিযানের সময় বন্দুকযুদ্ধে বেশ ক’জনের নিহত হওয়ার কথা বলা হয়েছে পুলিশের পক্ষ থেকেই।
চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহেই ঢাকায় এক কথিত বন্দুকযুদ্ধে দু’জন নিহত হয় যার একজন ওসমান ছিল নিষিদ্ধ জঙ্গি গোষ্ঠী জেএমবির উচ্চ পর্যায়ের নেতা এবং রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক রেজাউল করিম সিদ্দিকী হত্যাকাণ্ডের অন্যতম আসামী।
অপর নিহত ব্যক্তি কামাল ছিল বগুড়ায় শিয়া মসজিদে গুলি চালিয়ে একজনকে হত্যার মামলার অভিযুক্ত।
ছবির উৎস,FACEBOOK
ছবির ক্যাপশান,ব্লগার নীলাদ্রি নিলয়
বন্দুকযুদ্ধে এভাবে চাঞ্চল্যকর মামলার অভিযুক্ত নিহত হওয়ার ঘটনায় দেশজুড়ে সমালোচনা চলছে।
মাদারীপুরে একজন কলেজ শিক্ষকের উপর হামলার ঘটনায় গ্রেপ্তার হওয়া অভিযুক্ত ফাইজুল্লাহ ফাহিম পুলিশ রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদের ২৪ ঘণ্টার মাথায় বন্দুকযুদ্ধে নিহত হওয়ার ঘটনায় তীব্র বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে।
এসব বিতর্কের মাঝেই আজ অভিজিৎ রায়সহ আরো সাতটি হত্যাকাণ্ডে জড়িত একজনের বন্দুকযুদ্ধে মৃত্যুর খবর এলো।
অভিজিৎ রায়ের বাবা অজয় রায় তার ছেলে হত্যার প্রধান অভিযুক্তের ক্রসফায়ারে হত্যার বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।
তিনি বলছেন, “এই কিছুদিন আগে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার বলেছিলেন অভিজিতের হত্যাকারী তিনজনই দেশের বাইরে চলে গেছে। দেশের বাইরে চলে গেলে হঠাৎ করে এই হত্যাকারী আবির্ভূত হলো কি করে?”
ছবির উৎস,AP
ছবির ক্যাপশান,বাংলা একাডেমির বই মেলায় এখানেই অভিজিৎ রায়কে কুপিয়ে হত্যা করা হয়
মি রায় বলছেন, তার ছেলের হত্যাকারীদের বিচার হবে কীনা সেবিষয়ে তিনি ধীরে ধীরে আস্থা হারিয়ে ফেলছেন।
“মানুষ আশা নিয়েই বেঁচে থাকে। তবে যেভাবে অগ্রসর হচ্ছে, এভাবে যদি প্রকৃত হত্যাকারীরা ক্রসফায়ারের নামে নিহত হয় তো সেইভাবে তো আর তদন্ত বিভাগের প্রতিও আস্থা রাখতে পারি না, আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর কার্যক্রমের ওপরেও আস্থা রাখতে পারি না। এমনকি সরকারের ওপরেও ক্রমশ আস্থাটা ক্ষীণ হয়ে আসছে।”
তার মতে অনেকগুলো হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত একজন প্রধান অভিযুক্ত বন্দুকযুদ্ধে নিহত হওয়ায় বিচার বাঁধাগ্রস্ত হবে।
মি রায় বলছেন যেকোনো ক্রসফায়ারের ঘটনা বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ড এবং আদালত এই ধরনের মৃত্যুকে কোন সময় আইনিভাবে বৈধ বলে মনে করে না।
অভিজিৎ হত্যার বিচার চেয়ে ঢাবিতে মশাল মিছিল
দেশ টিভি ডেস্ক
ছবি: সংগৃহীত
ব্লগার ও লেখক অভিজিৎ রায়ের হত্যাকারীদের দ্রুত বিচারের আওতায় নিয়ে এসে সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে মশাল মিছিল করা হয়েছে।
সোমবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) নিপীড়নের বিরুদ্ধে শাহবাগের উদ্যোগে এই মশাল মিছিল করা হয়। মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রের (টিএসসি) ডাস এলাকায় শুরু হয়ে শাহবাগে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।
সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তারা বলেন, ২০১৫ সালের আজকের দিনে বিশিষ্ট ব্লগার ও অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট অভিজিৎকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যা করা হলেও দীর্ঘ ৯ বছরেও তার হত্যার কোনো বিচার হয়নি। বর্তমানে আসামিরা পলাতক রয়েছে, তাদের ধরতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কোনো তৎপরতা লক্ষ্য করা যায়নি।
তারা বলেন, আজকে মুক্তচিন্তার মানুষদেরকে হত্যা করে দেশকে মেধাশূন্য করার চেষ্টা চালানো হচ্ছে। আবার তাদের সঙ্গে একদল লোক আঁতাত করছে। কিন্তু আমরা বলব অভিজিৎ যে মুক্তচিন্তার লড়াই শুরু করেছিল, সেই লড়াই থেমে থাকবে না বরং মশালের অগ্নিশিখার ন্যায় আবারও জ্বলে উঠবে।
প্রসঙ্গত, ২০১৫ সালের গত ২৬ ফেব্রুয়ারি রাতে অমর একুশে গ্রন্থমেলা থেকে ফেরার পথে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত মার্কিন প্রকৌশলী, ব্লগার ও লেখক অভিজিৎকে কুপিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। হামলায় তার স্ত্রী রাফিদা আহমেদ গুরুতর জখম হন।
এও
ঢাবিতে অভিজিৎ হত্যার বিচারের দাবিতে মশাল মিছিল
ঢাবি প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৯:০৭ পিএমআপডেট : ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৯:০৭ পিএম
ছবি : দেশ রূপান্তর
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) ব্লগার ও লেখক অভিজিৎ রায়ের হত্যাকারীদের দ্রুত বিচারের আওতায় নিয়ে এসে সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে মশাল মিছিল হয়েছে।
সোমবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) অভিজিৎ হত্যার ৯ বছর পূর্তিতে নিপীড়নের বিরুদ্ধে শাহবাগের উদ্যোগে এই মশাল মিছিল করা হয়। মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রের (টিএসসি) ডাস এলাকায় শুরু হয়ে শাহবাগে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে সমাপ্ত হয়।
এ সময় বিক্ষোভকারীরা মৌলবাদের আস্তানা/খুন হত্যার আস্তানা, ভেঙে দাও গুড়িয়ে দাও; মুক্তিযুদ্ধের বাংলায়/মত প্রকাশের বাংলায়, খুন হত্যার ঠাঁই নাই; মত প্রকাশের স্বাধীনতা, দমন করা চলবে না; কলম এবং চাপাতি, একসাথে চলে না; লড়াই লড়াই লড়াই চাই, লড়াই করে বাঁচতে চাই; খুন হত্যা যেখানে, লড়াই হবে সেখানেসহ বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন।
সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তারা বলেন, ২০১৫ সালের আজকের দিনে বিশিষ্ট ব্লগার ও অনলাইন এক্টিভিস্ট অভিজিৎকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যা করা হলেও দীর্ঘ ৯ বছরেও তার কোন বিচার হয়নি। বর্তমানে আসামিরা পলাতক রয়েছে, তাদের ধরতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনীর কোনো তৎপরতা লক্ষ্য করা যায়নি। আজকে মুক্তচিন্তার মানুষদেরকে হত্যা করে দেশকে মেধাশূণ্য করার চেষ্টা চালানো হচ্ছে। আবার তাদের সাথে একদল লোক আঁতাত করছে। কিন্তু আমরা বলবো অভিজিৎ যে মুক্তচিন্তার লড়াই শুরু করেছিলো, সেই লড়াই থেমে থাকবে না বরং মশালের অগ্নিশিখার ন্যায় আবারও জ্বলে উঠবে।
২০১৫ সালের গত ২৬ ফেব্রুয়ারি রাতে অমর একুশে গ্রন্থমেলা থেকে ফেরার পথে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় বাংলাদেশি বংশদ্ভূত মার্কিন প্রকৌশলী, ব্লগার ও লেখক অভিজিৎকে কুপিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। হামলায় তার স্ত্রী রাফিদা আহমেদ গুরুতর জখম হন|
ঢাকা: ব্লগার ওয়াশিকুর রহমান বাবু হত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করেছে গণজাগরণ মঞ্চ।
রোববার সন্ধ্যায় মিছিলটি রাজধানীর শাহবাগে শুরু হয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি ঘুরে আবার শাহবাগে পৌঁছে শেষ হয়।
মিছিলে মঞ্চের মুখপাত্র ডা. ইমরান এইচ সরকার সাংবাদিকদের বলেন, `মৌলবাদী সন্ত্রাসীদের হাতে লেখক-ব্লগার অভিজিৎ রায় নৃশংসভাবে খুন হওয়ার পর একমাসের বেশি অতিবাহিত হয়েছে। এখন পর্যন্ত খুনিদের গ্রেফতারে কোনো অগ্রগতিই নেই। বিচারহীনতার এই নির্লজ্জ সংস্কৃতির মধ্যে আবার খুন হলেন আরেক প্রগতিশীল ব্লগার ওয়াশিকুর রহমান বাবু।`
তিনি বলেন, `বাবুর মৃত্যু চোখে আঙুল তুলে দেখিয়ে দিচ্ছে, মানুষের নিরাপত্তা দিতে প্রশাসন ব্যর্থ, কিংবা মানুষের নিরাপত্তা দেওয়া যে প্রশাসনের দায়িত্ব ও কর্তব্য, সে কথা প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিরা ভুলে বসে আছেন।’
বাংলাদেশের ইতিহাস দুই চার কথায় সংক্ষিপ্ত কিছু তথ্য - শেখ মিজান ১৯৫০-এর দশক: পূর্ব বাংলার রাজনৈতিক চেতনার উত্থান ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন: পূর্ব পাকিস্তানের মানুষ বাংলা ভাষাকে রাষ্ট্রভাষার স্বীকৃতি দেওয়ার দাবিতে আন্দোলন শুরু করে। ২১ ফেব্রুয়ারি ছাত্ররা শহীদ হন, যা পরবর্তীতে স্বাধীনতার বীজ রোপণ করে। জমিদারি উচ্ছেদ আইন (১৯৫০): পূর্ব পাকিস্তানে জমিদার প্রথা বিলুপ্ত হয়, কৃষকদের ভূমির অধিকার সুরক্ষিত হয়। ১৯৬০-এর দশক: বাঙালির আত্ম-সচেতনতা ছয় দফা আন্দোলন (১৯৬৬): বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পূর্ব পাকিস্তানের স্বায়ত্তশাসনের জন্য ছয় দফা ঘোষণা করেন। এটা ছিল পাকিস্তান থেকে আলাদা হওয়ার রূপরেখা। ১৯৬৯ গণ-অভ্যুত্থান: শেখ মুজিবের মুক্তির দাবিতে গণ-আন্দোলনে প্রেসিডেন্ট আইয়ুব খান পদত্যাগে বাধ্য হন। ১৯৭০-এর নির্বাচন ও স্বাধীনতা যুদ্ধ ১৯৭০ এর সাধারণ নির্বাচন: আওয়ামী লীগ নিরঙ্কুশ জয় লাভ করে, কিন্তু পাকিস্তান সরকার ক্ষমতা হস্তান্তর করতে অস্বীকৃতি জানায়। ৭ মার্চ ১৯৭১: বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ভাষণ — "এবারের সংগ্রাম, আমাদের মুক্তির সংগ্রাম।" ২৫ মার্চ ১৯৭১: পাকিস্তানি বাহিনীর...
গণজাগরণ মঞ্চের উত্থান ও আন্দোলনের পটভূমি প্রেক্ষাপট: ২০১০ সালের পর থেকে দেশের ছাত্র ও যুবসমাজ অনলাইনে সংগঠিত হতে শুরু করে। বিশেষ করে ব্লগার এবং অনলাইন অ্যাকটিভিস্টদের মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পক্ষে আন্দোলন গড়ে ওঠে। সে সময়কার সরকার প্রগতিশীলদের কণ্ঠরোধ করতে ৫৭ ধারার মতো বিতর্কিত আইন পাস করে এবং যুদ্ধাপরাধীদের বিচারে দীর্ঘসূত্রিতা শুরু করে। এর ফলে দেশের মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী জনগণের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ সৃষ্টি হয়। আন্দোলনের সূচনা: একাত্তর ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে আগ্রহী ছাত্র-যুবকদের এই ক্ষোভ ২০১৩ সালে গণজাগরণে পরিণত হয়। অনলাইনে সক্রিয় বিভিন্ন সংগঠক ও কর্মীদের সমন্বয়ে শাহবাগ আন্দোলন গড়ে ওঠে। আন্দোলনের মূলমন্ত্র ছিল- ‘রাজাকারদের সর্বোচ্চ শাস্তি চাই’। এই সময় অনলাইনের অন্যতম সংগঠক ডা. ইমরান এইচ সরকারকে মুখপাত্র করে আনুষ্ঠানিকভাবে গণজাগরণ মঞ্চ গঠিত হয়। নেতৃত্ব ও অংশগ্রহণ: গণজাগরণ মঞ্চের নেতৃত্বে ছিলেন বামপন্থী ছাত্র ও যুব সংগঠনের নেতারা। বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য ছিলেন: ছাত্র ইউনিয়নের সাবেক নেতৃবৃন্দ যুব ইউনিয়ন, ট্রেড ইউনিয়নের সংগঠকরা বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ও সংগঠক তপন দা (উদীচীর স...
Comments
Post a Comment